Monday, October 24, 2016

ছাত্র জীবন

ছাত্র জীবন
১) সর্বাধিক জ্বালাময় মুহূর্ত: মর্নিং এলার্ম এ ঘুম ভাঙ্গা
২) সবচেয়ে ভয়ংকর যাত্রাঃ ক্লাসের পথে যাত্রা
৩) সবচেয়ে আনন্দময় সময়ঃ বন্ধুর সঙ্গে আড্ডা
৪) সবচেয়ে দুঃখ জনক খবরঃ পরীক্ষা কাছিয়ে আসা
৫) সবচেয়ে আনন্দের সংবাদঃ শিক্ষক অনুপস্থিত থাকা
৬) ক্লাসে সর্বাধিক প্রিয় এলাকাঃ শেষ অথবা ব্যাক
বেঞ্চ।
৭) সবচেয়ে উপভোগ্য সময়ঃ মেয়ের চোখে চোখ পড়ে
যাওয়া।
৮) সবচেয়ে লজ্জাপূর্ণ সময়ঃ মেয়ের দিকে তাকানোর
সময় স্যারের দেখে ফেলা
৯) সর্বাধিক সিরিয়াস হওয়াঃ পরীক্ষা হল থেকে বের হয়ে
(
নতুন ভাবে পড়াশুনা শুরু করতে হবে)
১০) সর্বাধিক উদযাপনের সময়ঃ পরীক্ষার আশার চেয়ে
ভাল রেজাল্ট করা
১১) সবচেয়ে সময় ব্যয় যে ভাবনায়ঃ আজ থাক, কাল থেকে
কোপাইয়া পড়মু।

এই হলো আমাদের ইসলাম, দুনিয়ায় থেকে জান্নাতের সুসংবাদ পাওয়ার পরেও এইভাবে চিন্তা করেন।

একদিন হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) বিবি
আয়েশা (রাঃ) কে ডেকে জিজ্ঞেস
করলেন, হে আয়েশা, আজকে আমি
অনেক খুশি, তুমি আমার কাছে যা
চাইবে তাই দেব, বল তুমি কি চাও?
.
হযরত আয়েশা (রাঃ) চিন্তায় পড়ে
গেলেন, হঠাৎ করে তিনি এমন কি
চাইবেন, আর যা মন চায় তা তো চাইতে
পারেন না! যদি কোন ভুল কিছু চেয়ে
বসেন, নবীজী যদি কষ্ট পেয়ে যান? এমন
অনেক প্রশ্নই মনে জাগতে লাগলো!
আয়েশা (রাঃ) নবীজী কে বললেন, আমি
কি আব্বুর কাছ থেকে কিছু পরামর্শ নিতে
পারি?
.
নবীজী বললেন, ঠিক আছে তুমি
পরামর্শ নিয়েই আমার কাছে চাও।
আয়েশা (রাঃ) উনির আব্বু হযরত
আবু বকর (রাঃ) এর কাছে পরামর্শ
চাইলেন।
.
আবু বকর (রাঃ) বললেন, যখন কিছু চাইবেই,
তাহলে তুমি মুহাম্মাদ (সাঃ) এর কাছে,
মিরাজের রাতে আল্লাহ পাক রাব্বুল
'লামীন এর সাথে হইছে এমন কোন
গোপন কথা জানতে চাও।
আর কথা দাও নবীজী যা বলবেন তা
সর্বপ্রথম আমাকে জানাবে।
.
আয়েশা (রাঃ) নবীজী (সাঃ) এর কাছে
গিয়ে মিরাজের রাতের কোন এক গোপন
কথা জানতে চাইলেন, যা এখনও কাউকে
বলেন নি। মুহাম্মাদ (সাঃ) মুচকি হেসে
দিলেন, বললেন বলে দিলে আর গোপন
থাকে কি করে! একমাত্র আবুবকর ই পারেন
এমন বিচক্ষণ প্রশ্ন করতে।
.
মুহাম্মাদ (সাঃ) বলতে লাগলেন, হে
আয়েশা আল্লাহ আমাকে মিরাজের
রাতে বলেছেন, "হে মুহাম্মাদ (সাঃ)
তোমার উম্মাতের মধ্যে যদি কেউ,
কারো ভাংঙা যাওয়া মন জোড়া
লাগিয়ে দেয় তাহলে আমি তাহাকে
বিনা হিসাবে জান্নাতে পৌঁছে দেব।
(
সুবাহানাল্লাহ)
.
প্রতুশ্রুতি মত, আয়েশা (রাঃ) ইনার
আব্বু হযরত আবুবকর (রাঃ) এর কাছে
এসে নবীজীর বলে দেওয়া এই কথাগুলো
বললেন।
.
শুনে আবুবকর (রাঃ) কাঁদতে শুরু করলেন।
আয়েশা (রাঃ) আশ্চর্য
হয়ে জিজ্ঞেস করলেন, আব্বু আপনি
তো কত ভাংঙা যাওয়া মন জোড়া
লাগিয়েছেন, আপনার তো সোজা
জান্নাতে যাওয়ার কথা কাঁদছেন কেন?
.
আবুবকর (রাঃ) বললেন, আয়েশা এই
কথাটার উল্টা চিন্তা করে দেখো, কারো
ভাঙ্গা মন জোড়া লাগালে যেমন
আল্লাহ সোজা জান্নাতে দিবেন, কারো
মন ভাঙলে ও আল্লাহ যদি সোজা
জাহান্নামে দিয়ে দেন, আমি না জানি
নিজের অজান্তে কতজনের মন ভেঙেছি।
আল্লাহ যদি আমাকে জাহান্নামে দিয়ে
দেন, সেই চিন্তায়
আমি কাদতেছি।
(
সুবাহানাল্লাহ)
.
এই হলো আমাদের ইসলাম, দুনিয়ায় থেকে
জান্নাতের সুসংবাদ পাওয়ার পরেও
এইভাবে চিন্তা করেন। এইভাবে ইসলাম
আমাদেরকে শিক্ষা দেয়, কাউকে কষ্ট না
দিতে, মানুষের কষ্টে পাশে দাড়াতে।
.
মুহাম্মাদ (সাঃ) আরো বলেছেন, যদি
তুমি গোস্ত রান্না করতে চাও, তাহলে
এক গ্লাস পানি বেশি দিয়ে দাও, যাতে
তোমার গরীব প্রতিবেশীকে একটু
দিতে পারো। আর যদি না দিতে
চাও, তাহলে এমন সময় রান্না করবে,
যখন প্রতিবেশীর বাচ্চা ঘুমিয়ে থাকে,
গোস্তের ঘ্রান পেয়ে বাবা-মাকে
গোস্ত
খাওয়ার কথা না বলে, গরীব বাবা-মা,
গোস্ত কিনে খাওয়াতে পারবে না, মনে
অনেক কষ্ট পাবে।
.
এইভাবে ইসলাম আমাদের শিক্ষা
দিয়েছে, মুহাম্মাদ (সাঃ) আমাদের কে
শিক্ষা দিয়ে গেছেন।
.
মানুষের মন না ভাঙতে, মানুষকে কষ্ট
না দিতে।
.
আল্লাহ পাক রাব্বুল আ'লামীন
আমাদেরকে মানুষের কষ্টে পাশে
দাড়ানোর, মানুষকে কষ্ট দেওয়া থেকে,
মানুষের ভেঙে যাওয়া মনকে
বুঝার তাওফিক দান করুন।

আমাদের সব হতাশা, ভালো না লাগার একটাই ওষুধ- ইন্টারনেট।

আমাদের সব হতাশা, ভালো না লাগার একটাই ওষুধ- ইন্টারনেট পড়তে ভালো না লাগা, ছ্যাঁকা খাওয়া, পছন্দের ভার্সিটিতে চান্স না পাওয়ার কষ্ট দূর করার একটাই জায়গা- ফেইসবুক আমরা GRE পড়বো না বিসিএস দিবো, ফিউচারে কি করবো সব কনফিউশনের একটাই সমাধান- স্মার্টফোন এডিকশন এই ফেইসবুক, ইউটিউব, মোবাইল গেমস, স্মার্টফোনের এর নেশায় মজে ৮০% পোলাপান জীবনের লক্ষ্য থেকে ছিটকে পড়ে
অথচ একবার ব্যর্থ হয়ে হতাশা প্রতিষেধন করার কথা ছিলো- চেষ্টা বাড়িয়ে। মন খারাপ কমানোর কথা ছিলো- বাস্তবতা মেনে নিয়ে ফিউচারের জন্য একচাইটেড হয়। কনফিউশন কন্ট্রোল করার কথা ছিলো - একটা নির্দিষ্ট লাইনে ফোকাস থেকে। কিন্তু তার কোনটাই না করে, হতাশা, কনফিউশন আর মন খারাপকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করে বার বার ফিরে গেছো ফেইসবুকে। পড়া কঠিন, মুখস্থ করতে ভালো না লাগার কথা বলে ফিরে গেছো স্মার্টফোন নামক জাদুর বাক্সে
.
এই নেশা থেকে তোমাকে, তোমার ফিউচার, তোমার জীবনের লক্ষ্যকে উদ্ধার করতে হলে- প্রথমেই নিজেকে শক্ত করতে হবে। তারপর নিজে নিজে প্রমিজ করতে হবে যে দিনে আমি ঘন্টার বেশি ফেইসবুক বা গেমস বা ওই app ইউজ করবো না। কোন অবস্থাতেই না। এখন স্মার্টফোনের নেশা থেকে মুক্তির জন্য নিচের চার স্টেপ ফলো -
. এন্ড্রয়েডের Play Store গিয়ে সার্চ দিয়ে AppDetox নামের একটা app ইনস্টল করো। সেই app গিয়ে দেখবা "Settings" লেখা আছে। সেটাতে ক্লিক করে তোমার ফোনের সব সার্ভিস এক্সেস করার পারমিশন দিয়ে দিবা
. AppDetox ফেরত এসে দেখবা appDetox তোমার মোবাইলের সব ইনস্টল করা app এর লিস্ট আছে। সেই লিস্ট স্ক্রল করে তুমি যে app ব্যবহার কন্ট্রোল করতে চাও সেটার ডানপাশের প্লাস চিহ্নে ক্লিক করো। ধরো তুমি ফেইসবুক ব্যবহার কন্ট্রোল করতে চাও। তাই স্ক্রল করে ফেইসবুক app গিয়ে ডানপাশের প্লাস চিহ্নে ক্লিক করো
. অনেকগুলা রুলস দেখাবে সেখান থেকে প্রথম অপশন "Specific daytimes" সিলেক্ট করে নিচের "Next" বাটনে চাপ দাও। তারপর সপ্তাহের দিনের লিস্ট দেখাবে। সেখান থেকে সবকয়টা দিন সিলেক্ট করে নিচের Next বাটনে চাপ দাও
. এখন start at এর নিচে টাইম সেট করো ২৩.০০ এবং End at এর নিচে টাইম সেট করো ২২.০০ টা। অর্থাৎ তুমি রাত ১১.০০টা থেকে পর থেকে শুরু করে সারা দিন পার হয়ে পরেরদিন রাত ১০.০০ টা পর্যন্ত ফেইসবুক ব্যবহার করবা না। অর্থাৎ শুধু রাত ১০.০০ থেকে ১১.০০ পর্যন্ত ব্যবহার করবে। এর বেশি না
.
তুমি যে যে app এর ইউজ করতে আসক্ত হয়ে গেছো, সবগুলার জন্য একটা একটা করে রুলস বানাবা। কোন অবস্থাতেই দিনে ঘন্টার বেশি ব্যবহার করবা না। সেটা রাত ১০.০০ থেকে ১১.০০ টা বা অন্য যেকোন সময়ই হোক না কেনো
ব্রাউজারে ফেইসবুক, ইউটিউব বা অন্য কোন ওয়েবসাইট ইউজ কন্ট্রোল করার জন্য ক্রোম এবং ফায়ারফক্স এর দুইটা এক্সটেনশন আছে "Block Site" এবং "Stay Focused" এগুলা অনেক ইফেক্টিভ
মনে রাখবে- AppDetox হচ্ছে তোমার আচরণ কন্ট্রোল করার একটা উপায়। তবে তুমি নিজে ঠিক না হলে, মন শক্ত না করলে, নিজের ফিউচারের জন্য, নিজের লক্ষ্যের জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞা না করলে, তোমারই ক্ষতি হবে। তোমারই ফিউচার নষ্ট হবে। অন্য কারো না


অলসতা হতাশার পাল্লাকে ভারি করে। অজুহাত সফলতাকে বেহাত করে।

অলসতা হতাশার পাল্লাকে ভারি করে অজুহাত সফলতাকে বেহাত করে অন্যের উপর নির্ভরতা দুঃসময়কে দীর্ঘায়িত করে তাই অলসতা, অজুহাত আর অন্যের দয়ার দিকে না তাকিয়ে নিজের দিকে তাকাও দেখবে সফল হওয়ার জন্য যতটুকু শক্তি, সামর্থ্য, সময় দরকার তার পুরোটাই তোমার মধ্যে আছে শুধু একটা জিনিস নাই সেটা হচ্ছে- আত্মবিশ্বাস তবে দুঃখের বিষয় হচ্ছে, আত্মবিশ্বাসের কোন ট্যাবলেট নাই মন্ত্র নাই কোন ভিডিও বা মোটিভেশনাল লেখাতে যতটুকু আত্মবিশ্বাস গজায়, সেটা লেখা শেষ হওয়ার আগেই হারিয়ে যায়
.
একটু খেয়াল করলে দেখবে- যে কোনদিন গাড়ির স্টিয়ারিং ধরে নাই। খোলা মাঠেও গাড়ি চালানো প্রাকটিস করে নাই। সে ব্যস্ত সড়কে গাড়ি চালানোর কনফিডেন্স পাবে না। যে খেলোয়াড় ঘরোয়া লীগ খেলে নাই, ট্রেনিং ক্যাম্পে যায় নাই, সে বিশ্বসেরাদের এগিনিস্টে দাঁড়ানোর আত্মবিশ্বাস পাবে না। কারণ আত্মবিশ্বাস মনের জোর না, ট্রেনিংয়ের জোর। কনফিডেন্স ম্যাজিক পিল না, ডেভেলপ করা স্কিল। এটা কাজ শুরু করার ইনপুট না, আউটপুট। তাই আত্মবিশ্বাস না খুঁজে, চেষ্টা করার অভ্যাস ডেভেলপ করো। লাভ-লসের হিসাব না করে, যত বেশি লেগে থাকবে, যত বেশি ঘাম ঝরাবে, তত বেশি কনফিডেন্ট হবে। তত দ্রুতগতিতে বাধার দেয়াল টপকাতে পারবে
.
প্রত্যেকটা বাধার দেয়াল দেখতে চায়, তুমি কতটা মরিয়া হয়ে সফল হতে চাচ্ছ। তাই স্বপ্নটা প্ল্যানের খাতায় না রেখে, কাজের খাতায় রূপান্তরিত করো। সিম্পল চারটা স্টেপে। স্টেপ-: নিজেকে দুই থেকে তিন দিনের ডেডলাইন দাও। গুগলে সার্চ মেরে, আশেপাশের কাউকে জিজ্ঞেস করে- ড্রিম রিলেটেড ফিল্ডের ইনফরমেশন কালেক্ট করো। শূন্য থেকে শুরু করার, কোনরকম একটা টার্গেট সেট করো। স্টেপ-: পরের সপ্তাহে কমপক্ষে ১০ ঘন্টা সময় দাও দরকার হলে, কাউকে হুবহু অনুকরণ করো। টার্গেট ফিনিশ করতে না পারলেও মিনিমাম ১০ ঘণ্টা সময় দাও। স্টেপ-: তারপরের সপ্তাহে আরো ১০ ঘন্টার টার্গেট নিয়ে নামো। স্টেপ-: রিপিট স্টেপ থ্রি। ব্যস, এইভাবে দুই-তিন মাস সময় দিতে থাকলে; কনফিডেন্স, একসাইটমেন্টের খনি পেয়ে যাবে
.

আজাইরা উপদেশ, জ্ঞান দিতে আসা পাবলিকদের কথার দিকে খেয়াল না করে, তাদের কাজের দিকে খেয়াল করো। যারা তোমার ড্রিমের ফিল্ডে অনেক দূর এগিয়ে আছে, শুধু তাদের কথা গোনায় ধরো। কোন কারণে ব্যর্থ হলে, অজুহাত-দোষী ব্যক্তি না খুঁজে, অল্টারনেটিভ রাস্তা খুঁজো। আবারও চেষ্টা করো। কঠোর পরিশ্রম করো। কারণ, দুনিয়াতে সফল হওয়ার একটাই শর্টকাট- হার্ড ওয়ার্ক